ইখবার ডেস্ক : চাপ প্রয়োগে যৌন হয়রানির মামলা না তুললে ফেনীর সোনাগাজীর আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে ভয়-ভীতি দেখানো এবং তাতে কাজ না হলে তাকে পুড়িয়ে হত্যার নির্দেশ দেয় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা। শুধু তাই নয়, নুসরাতকে হত্যার পর ঘটনাটিকে কীভাবে আত্মহত্যা বলে চালাতে হবে, সেই পরিকল্পনাও সহযোগীদের শিখিয়ে দেয় সে।
বুধবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের এজলাসে দেওয়া সাক্ষ্যে এসব কথা বলেন সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার বাংলার প্রভাষক দিস্তা খানম, আয়া বেবী রানী দাস, সহপাঠী আকলিমা আক্তার ও কায়সার মাহমুদ। এদিন একই বিচারকের এজলাসে আরও সাক্ষ্য দেন সোনাগাজী পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইয়াসিন ও অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার নুরুল করিম। বাদীপক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমানসহ ২১ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।