ডেস্ক রিপোর্ট : : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম রাজধানীর নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও বনশ্রী আইডিয়ালে শিক্ষিকা কর্তৃক মেয়েদের ওড়না কেড়ে নেয়ার ঘটনা ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ড্রেস কোড নিয়ে বিতর্কের পর পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিবর্তিত মূল ড্রেস কোডে রয়েছে সালোয়ার, কামিজ, ক্রস বেল্ট ওড়না ও জুতা। ছেলেদের জন্য টুপি, মেয়েদের জন্য স্কার্ফ ও অতিরিক্ত হিসেবে বড় ওড়না এতোদিন বাধ্যতামূলক ছিল। নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে এগুলোকে ঐচ্ছিক করা হয়েছে মাধ্যমিক শাখার জন্য। তবে কলেজ শাখার ড্রেস কোড আগের মতোই রয়েছে। ঐচ্ছিক অর্থ হচ্ছে- ছাত্ররা চাইলে টুপি পরতে পারবে, ইচ্ছে না হলে পরবে না। একইভাবে ছাত্রীরা স্কার্ফ ও ওড়নাও ইচ্ছে অনুযায়ী পরতে পারবেন। কিন্তু ঐচ্ছিক ঘোষণার পরও বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছাত্রীদের ওড়না ও বোরকা পরতে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্কুলের শিক্ষার্থী অভিভাবকরা। তারা বলেন, যারাই বড় ওড়না পরে স্কুলে যাচ্ছেন তাদের ওড়না খুলে রাখা হচ্ছে এবং বোরকা পরে আসলে স্কুলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলেও সতর্ক করা হয়েছে। তিনি বলেন, মুসলিম প্রধান দেশে এধরণের সিদ্ধান্ত খুবই নিন্দনীয়।
তিনি বলেন, গভর্নিং বডির সদস্য ও শিক্ষকদের এমন সিদ্ধান্তে শুধু ইসলামের অবমাননাই হচ্ছে না, স্কুল দুটিও হারাচ্ছে তাদের ঐতিহ্য। হিজাব বা পর্দা শরীয়তের অলঙ্ঘনীয় বিধান। এই বিধান অস্বীকার করলে ঈমান থাকে না। এই স্কুলের শুরুতে মেয়েদের পোশাক ছিল ফ্রকের মতো গোল ঘেরা জামা, সেলোয়ার, হিজাব অথবা ওড়না। আর ছেলেদের পোশাক ছিল সাদা শার্ট নীল প্যান্টের সাথে সাদা টুপি। এটাই ছিলো ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যের এই প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য। এমন একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের ওড়না নিষিদ্ধ করা একটি ভয়ানক ইসলাম বিদ্বেষী ষড়যন্ত্র।
আজ বুধবার দুপুরে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং বিভিণœ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা নেছার উদ্দিন, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মুফতী মোস্তফা কামাল প্রমুখ।